ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ বালু–পাথর উত্তোলন, আটক ১২

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই ব্রিজ ও সাদা পাথর এলাকায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে। টানা দুই দিনের অভিযানে ১০৩টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে এবং অন্তত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদারের নেতৃত্বে শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত প্রথম অভিযান পরিচালিত হয়। এতে ১২টি নৌকা ও ১২ জনকে আটক করা হয়।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে একই স্থানে আরও বৃহৎ পরিসরে অভিযান চালানো হয়, যেখানে ৯১টি নৌকা জব্দ করে যৌথবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযানে সহযোগিতা করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় আনসার সদস্যরা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, ‘অভিযানে আটক ব্যক্তিদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে। বালু-পাথর লুটে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদার বলেন, ‘সরকারি সম্পদ রক্ষায় প্রশাসন দৃঢ় অবস্থানে আছে। ধলাই নদী ও সাদা পাথর এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চলবে।’

প্রশাসন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ধলাই নদীর পাড়ে রাতের আঁধারে কিছু অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছিলেন। এতে নদীর তীর ভাঙনসহ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধলাই ব্রিজ ও সাদা পাথর এলাকায় ব্যাপক বালু-পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা তৈরি হয়। পরে নতুন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অবৈধ উত্তোলনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়।

দুদকের তদন্তে প্রকাশ পায়, আগের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০ জনেরও বেশি নেতার নাম উঠে এসেছে। ইতোমধ্যে বালু লুটের মামলায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার এবং ২৬ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, নতুন এসি-ল্যান্ডের নেতৃত্বে প্রশাসনের এই ধারাবাহিক পদক্ষেপ কোম্পানীগঞ্জে অবৈধ বালু-পাথর ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করবে এবং পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।