ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

কোডিংয়ে ভাগ্য খুলছে চরের শিক্ষার্থীদের

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
ড্রিমার্স একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রাপ্ত বয়স্করা যেখানে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন না সেখানে ১১ থেকে ১৪ বছরের কিশোরদের দেওয়া হবে কোডিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ। আর সেই সুযোগ পাচ্ছে দুর্গম যমুনা চরে বসবাসকারী অবহেলিত শিক্ষার্থীরা।

হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ-এর অর্থায়নে এবং কোডিং ক্লাস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ড্রিমার্স একাডেমির সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার শুশুয়া গ্রামের ২০ জন শিক্ষার্থীকে বছরব্যাপী কোডিং শিক্ষা দেওয়া হবে।

এ জন্য শুশুয়ায় একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাবে ১১টি ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, আইপিএস, ইন্টারনেট সংযোগসহ প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। ড্রিমার্স একাডেমির প্রশিক্ষকরা অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস নেবেন।

এই উপলক্ষে রোববার (৫ অক্টোবর) শুশুয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুঞাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান সোহাগ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ড্রিমার্স একাডেমির চেয়ারম্যান শরিফ আহমেদ, অর্জুনা ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলশাদ এবং শুশুয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোমিনুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দুর্গম যমুনা চরে কোডিং শেখানোর এই উদ্যোগ তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে চরের শিক্ষার্থীরাও শহরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারবে।

হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ’র সিইও মাসুম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কোডিং শেখার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরা মোবাইল ও কম্পিউটারের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবে। এর ফলে তারা স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং উন্নত জীবনের পথে এগিয়ে যাবে।’

ভবিষ্যতেও চরের যুবকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।