শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম

ডলারের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম

আমিনুল ইসলাম ওরফে সোহরাব। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আমিনুল ইসলাম ওরফে সোহরাব। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে ডলার কেনাবেচার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রতারক চক্রের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুল ইসলাম ওরফে সোহরাব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বহুদিন ধরে বনাঞ্চলে সক্রিয় এই চক্রের প্রতারণার কৌশল এবার প্রকাশ্যে এসেছে।

মামলার চার দিন পর শুক্রবার (২১ নভেম্বর) মধুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর অরনখোলা ইউনিয়নের ভুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহরাবকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগী রুবেল পাইক পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি গাজীপুর পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকায় থাকেন।

তিনি জানান, গত ১৭ নভেম্বর পাবনার আতাইকুলার গয়েশবাড়ী গ্রামের মুশফিকুর ও শফিকুরকে নিয়ে তিনি মধুপুর বনাঞ্চলে আসেন। তাদের প্রতি ডলার ২০ টাকায় বিক্রির লোভ দেখানো হয়েছিল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার আব্দুর রহিমের ছেলে জুলহাসের ডাকে রুবেলরা ভুটিয়া এলাকায় গেলে প্রতারক চক্র তাদের ঘিরে ফেলে। চক্রের সদস্য সোহরাব, তার ভাই আব্দুল হালিম, কল্পনা, বানারপাড়ার মোস্তফা ও আরও কয়েকজন মিলে তাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং রুবেলসহ তিনজনের ৬টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নেয়।

ঘটনার পর রুবেল পাইক থানায় মামলা করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করে। ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বনাঞ্চলে ডলার কেনাবেচার নামে দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। চক্রটির কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকি সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’

স্থানীয়দের দাবি, মধুপুর বনাঞ্চল বহুদিন ধরেই ডলার প্রতারণার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। বড় অঙ্কের টাকা খোয়া গেলেও লজ্জা, ঝামেলা ও আইনি জটিলতার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন না। এতে চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!