রঙ তার কালো। নাম তার ‘কালা বাবু’। ওজন তার ২০ মণ। একে একনজর দেখতে ভীড় জমে যাচ্ছে দর্শকদের। আর মালিক দাম হাঁকাচ্ছেন ৬ লাখ।
ফ্রিজিয়ান জাতের বিশাল আকৃতির এই গরুটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের। স্থানীয় নেকমরদ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন লালন পালন করে এবার কোরবানির হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার দাবি, এটিই উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু।
মনোয়ার হোসেন বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে গ্রামের একজনের কাছ থেকে ফ্রিজিয়াম জাতের কাল রঙের এ ষাঁড় বাছুরটি কিনেছিলাম। তারপর থেকে গরুটির লালন পালন করি। খুব শান্ত স্বভাবের। শখ করে নাম রাখি ‘কালা বাবু’।
তিনি বলেন, ষাঁড়টির প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে, কাঁচা ঘাস, ভুসি, চালের কুড়া, ভুট্টা, অ্যাংকর, খৈল । তার পেছনে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ৭ শ টাকা। পাইপ দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ বার গোসল করাতে হয়। গরমে আরামের জন্য ফ্যান ও মশা তাড়াতে দৈনিক ৪টি করে কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে।
মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খুব শখ করে সন্তানের মতো লালন পালন করছি। এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রি করে দেব।’ কেমন দাম চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম ৬ লাখ টাকা । যে বা যারা কালা বাবুকে নেবেন তারা নিজেরাই দেখে মেপে দাম করে নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, ‘উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট নেকমরদ বাজার রোববার তিনি গরুটিকে হাটে তুলবেন। সেখানে যে কেউ দেখে শুনে দাম করে নিতে পারবেন। অথবা গরুটি কিনতে ০১৭১৯-৩৪৬৬১৮ মালিকের এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলায় এখন পর্যন্ত জানা মতে, মনেয়ার হোসেনের ‘কালা বাবু’ গরুটিই সবচেয়ে বড়। কোরবানির পশুর হাটে এটি আকর্ষণীয় হবে বলে আমরা মনে করছি।