ঠাকুরগাঁওয়ে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে রাসায়নিক সার নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ট্রাক আটক করেছে স্থানীয়রা।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাত দেড়টায় সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেহন ময়দান বাজারে ট্রাকটি আটক করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন এসে সারসহ ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, সন্দেহ হলে গভীর রাতে ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক ওই ইউনিয়নে ভেলাজান বাজার থেকে আটক করে দেহন ময়দান বাজারে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে ট্রাকটিতে সার দেখতে পেয়ে চালান দেখতে চাইলে ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে প্রশাসনকে খবর দিলে সদর থানা পুলিশের ওসি ও উপজেলা কৃষি অফিসার মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে এসে সবার উপস্থিতিতে সারসহ ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসিরুল আলম বলেন, স্থানীয় লোকজন ফোন করে জানায়, তারা একটি সারবোঝাই ট্রাক আটক করেছে। পরে ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকসহ স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, ৩০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এসব সার সরকারি দরে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা করা হবে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো. সরোয়ারে আলম খান বলেন, রাতের আঁধারে ট্রাকে করে সার নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী একটি ট্রাক আটক করেছে। পরে থানায় খবর দিলে আমরা এসে ট্রাকটি জব্দ করেছি। ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়নি তারা আগেই পালিয়ে গেছে। ট্রাকটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে অবৈধভাবে মজুত করার অভিযোগে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুই ডিলারের গুদাম থেকে ৮৩৯ বস্তা সার জব্দের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ একটি গুদাম সিলগালা করা হয়।
এ ছাড়াও সদরের গড়েয়া বাজারের ব্যবসায়ী ইসরাফিলের গুদাম থেকে ৯৪৭ বস্তা সার জব্দসহ অনিয়মের অভিযোগে আউলিয়াপুরের ডিলার নঈমউদ্দীন টেডার্সকে নোটিশ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। কিন্তু তার পরেও অবৈধভাবে সার মজুত ও বিক্রি হচ্ছে? প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন স্থানীয়দের।
গভীর রাতে সরকারি সার পাচার ঠেকাতে স্থানীয়দের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তবে সার পাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা না গেলে বারবারই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তাই স্থানীয়রা প্রশাসনকে সার চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ জানান।