ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের হারানঘাট গ্রামে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছে। সে সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, হামলায় এক পুলিশ সদস্যও আহত হয়। রবিবার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাটিতে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান আছে। এরপর সন্ধ্যায় আহত মিঠু বিশ্বাস (৪২), গোলাম ফারুক (৬০) ও রকিবুল ইসলাম (৪৫)-কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে আহত পুলিশ সদস্যের নাম তাৎক্ষনিক জানাতে পারেনি পুলিশ। বাকি আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাসের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে রোববার বিকেলে স্থানীয় কল্যাণপুর বাজারে নজরুল ইসলামের সমর্থক মিঠু বিশ্বাসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। পরে জেলা শহরে বিএনপির মিটিং শেষ করে বিকাল ৫টার দিকে সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলাম বাড়ি ফিরছিল।
আরও জানা যায়, পথিমধ্যে হারানঘাট গ্রামে পৌঁছালে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করে। সে সময় তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চান। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুললে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা করে। সে সময় তারা গাড়ির ভেতরে এবং বাইরে নামিয়ে গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এবং পুলিশের পিকআপ ভাঙচুর করে। সে সময় হামলায় পুলিশের এক সদস্য সামান্য আহত হয়। পরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। ভাঙচুর করা গাড়িটি বর্তমানে পুলিশ লাইনসে রাখা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ছোঁয়া ইসরাইল বলেন, হাসপাতালে আসা আহত তিন জনেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে গোলাম ফারুখের শারীরিক অবস্থা সব থেকে বেশি খারাপ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। জড়িতদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’


