বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

সিএমএসএফ’র বৈঠকে সদস্যদের সম্মানী ছিল ৮ হাজার টাকা!

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

সিএমএসএফ’র বৈঠকে সদস্যদের সম্মানী ছিল ৮ হাজার টাকা!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

২০২১ সালে দেশের পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে চালু করা হয় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। উদ্দেশ্য ছিল বাজারের যেকোনো অস্থিতিশীল অবস্থাতে শেয়ার কেনাবেচা করে তারল্য নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। তবে অন্যান্য দেশের একই ধরনের তহবিলের মতো বাজারকে স্থিতিশীল করতে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি সিএমএসএফ। বরং এর পর্ষদ (বোর্ড) পুঁজিবাজারে বাস্তব আর্থিক হস্তক্ষেপের পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে রেকর্ড গড়েছে সভা করে।

জানা গেছে, তিন বছরে ৩২৩টি বৈঠক করেছেন পর্ষদ সদস্যরা। যেখানে অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি এক বছরে ১০০টির বেশি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসবে সম্মানীর হারও কম না। যেখানে প্রতি বৈঠক বাবদ কমিটির সদস্যদের জনপ্রতি সম্মানী ছিল ৮ হাজার টাকা।

সিএমএসএফ এর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে ৬৩ বোর্ড মিটিং হয়েছে, আর অন্যান্য কমিটির সভা হয়েছে ২৬০টি। অর্থাৎ,  প্রায় প্রতিদিনই করা হয়েছে কোনো না কোনো মিটিং, যেখান থেকে বছরে কোটি টাকা সম্মানী নিয়েছেন সিএমএসএফ’র বোর্ড সদস্য ও অন্যান্য কমিটির সদস্যরা। এসব সভায় কেবল বোর্ড সদস্যরাই নয়, বোর্ড সদস্যের বাইরেও চেয়্যারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারাও প্রতি মিটিংয়ে ৮ হাজার করে সম্মানী পেয়েছেন।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ব্যাংকে পড়ে থাকা অবিতরণকৃত বা অবণ্টিত লভ্যাংশ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় সিএমএসএফ, যার ৪০ শতাংশ নগদ অর্থে সরাসরি শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে। কিন্তু, তিন বছর অতিবাহিত হলেও ফান্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আইনগত সমস্যার সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে আইসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, শুরু থেকেই এই স্থিতিস্থাপক ফান্ড গঠনের বিষয়টি বিতর্কিত ছিল। অবণ্টিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের টাকা, যেগুলো সংগ্রহের পরে এই ফান্ডের তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, অর্থ সংগ্রহের পরে ফান্ড যদি ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত না হয়, সেক্ষেত্রে কমিশন বিষয়টির তদন্ত করতে পারে। যেহেতু এখানে জনগণের অর্থ রয়েছে, তাই ফান্ডকে অবশ্যই ম্যান্ডেট মেনে চলতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্টের পর বিলুপ্ত হয়ে গেছে সিএমএসএফ’র সেই পর্ষদ। সম্প্রতি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরবি/এফআই

Link copied!