ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

শেষ মুহূর্তে জমজমাট খাইট্টা-হোগলার বাজার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৫, ১১:১০ এএম
কারওয়ান বাজারে হোগলা বিক্রি করছেন একজন মৌসুমী বিক্রেতা । ছবি- সংগৃহীত

ঈদুল আজহার আর মাত্র ১ দিন বাকি। কোরবানির প্রস্তুতিতে জমে উঠেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি বাজার। পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি বা খাইট্টা এবং হোগলার চাটাইয়ের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি বেড়েছে পশুখাদ্য, বাঁশের চাটাই, ঝুড়ি ও ঝাড়ুর বিক্রিও।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা খাইট্টা, হোগলা, শুকনা ও কাঁচা ঘাস, ধানের তুষ, ভুসি ও খইল নিয়ে বসেছেন।

বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগের তিন-চার দিনই এসব পণ্যের মূল ব্যবসা হয়।

কারওয়ান বাজারের মৌসুমি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, এবার ঈদে দেড় শতাধিক খাইট্টা এনেছি। প্রতি পিস বিক্রি করছি ২৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। তেঁতুল কাঠের খাইট্টা সবচেয়ে দামি। গড়পড়তা হিসাবে প্রতিটি খাইট্টা থেকে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা লাভ হচ্ছে।

ভোলার তজুমদ্দিন থেকে হোগলা এনেছেন ব্যবসায়ী মো. জাফর। তিনি জানান, এ বছর হোগলার চাহিদা বেশি। অনেকেই কিনছেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হলেও বিক্রি ভালো।

একই সঙ্গে কোরবানির পশুর জন্য ঘাস, ভুসি, খইল, কাঁঠালপাতার আঁটি বিক্রিও বেড়েছে। প্রতিটি শুকনা বা কাঁচা ঘাসের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়, ভুসি ৬০-৮০ টাকা, খইল ১০০ টাকা, ধানের তুষ ৩০ টাকা, আর কাঁঠাল পাতার আঁটি ৫০ থেকে ১০০ টাকা।

তবে ক্রেতারা বলছেন, এসব পণ্যের দাম এবার তুলনামূলক বেশি। তেজতুরী বাজার এলাকা থেকে পশুখাদ্য কিনতে কারওয়ান বাজারে আসা বেসরকারি কর্মচারী পেয়ারে আহমেদ বলেন, দাম অনেক বেশি। কিন্তু কোরবানির কাজ সহজ করতে হলেও এসব কিনতে হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। আর প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। সেই অনুপাতে কোরবানির আনুষঙ্গিক পণ্যের বাজারও এখন চরম ব্যস্ত।