পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শৃঙ্খলাজনিত বিভাগীয় মামলার তদন্ত কার্যক্রমে পেশাদারিত্ব ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ রুমে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশ নেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মাননীয় সচিব নাজমা মোবারেক।
তিনি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক দেশের প্রতিটি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা তাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
নাজমা মোবারেক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অফিসে বসে কেবল দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা না করে, সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি শ্রেণিকৃত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ হ্রাস এবং ঋণ পুনরুদ্ধার (রিকভারি) কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, ভালো মানুষ হতে পারলেই ভালো কাজ করা সম্ভব।
বক্তব্যে তিনি তদন্ত কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সরকারি বিধি-বিধান সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন লঙ্ঘনকারীদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দেশের প্রান্তিক জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যক্রমকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন এই সচিব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব সরদার কেরামত আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক ও বাংলাদেশ ছাত্র কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরে আলম তালুকদার।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক খান ইকবাল হাসান ও মহাব্যবস্থাপক এ. বি. এম. জাহিদ হোসেন এবং মো. আলাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমা বানু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিরা পর্যায়ক্রমে তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা শৃঙ্খলাজনিত মামলার সুষ্ঠু ও পেশাদার তদন্ত, গোপনীয়তা রক্ষা এবং আইনি প্রক্রিয়ার নানা দিক সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবেন।
ভবিষ্যতে এসব অর্জিত জ্ঞান ব্যাংকের শৃঙ্খলা রক্ষা, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
