উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (ডিআইএস) উত্তরা রূপায়ণ সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি ২০২৫, যেখানে শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সমাপ্ত করে নতুন জীবনের সূচনা উদযাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খান রাতুল, ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি এক্সাম ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রাইম্যান, অক্সফোর্ড এ-কিউ-এ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শাহীন রেজা, ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্টের কান্ট্রি লিড সারওয়াত মাসুদা রেজা, রূপায়ণ সিটির সিইও মাহবুবুর রহমান, ড্যাফোডিল গ্রুপের সিও ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শাহানা খান ও অধ্যক্ষ নাজাহ সালাওয়াত। এ ছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচির মধ্যে ছিল আনুষ্ঠানিক বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও চিন্তাধারার উপস্থাপন এবং এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উত্তরণের সনদ বিতরণ।
প্রধান অতিথি ড. মো. সবুর খান বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রায় শিক্ষার্থীরা হলো আলোকবর্তিকা। বর্তমানে আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময় পার করছি। এই সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবট এবং ড্রোন প্রযুক্তি পুরো চাকরির ক্ষেত্রকেই পাল্টে দেবে। শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই প্রস্তুত হওয়া জরুরি।’
রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খান রাতুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। জ্ঞানের দীপ্তি, চরিত্রের দৃঢ়তা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
ডিআইএস উত্তরা ক্যাম্পাসের প্রিন্সিপাল নাজাহ সালাওয়াত বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন শুধু শিক্ষাজীবনের একটি ধাপ নয়। এটি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। শিক্ষার্থী ও পরিবারের জন্য এটি গৌরবময় মুহূর্ত।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাগত উৎকর্ষ ও নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে সমৃদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানকে মর্যাদাপূর্ণ ও বহুল প্রতীক্ষিত আয়োজনে রূপ দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের নতুন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার পথে যাত্রা শুরু করার জন্য উৎসাহ প্রদান করে।