রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপ-উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ রোববার রাত ৮টায় ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস ও পরীক্ষা) স্থগিত থাকবে।
এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা আয়োজনের ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। এ ধরনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে যথোপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
পোষ্য কোটাকে ঘিরে উত্তেজনা
এর আগে, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা বাতিলের প্রতিবাদে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনগুলো। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে শিক্ষক ও কর্মচারীরা এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা হিসেবে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন।
সর্বশেষ, সিন্ডিকেটে কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং কমপ্লিট শাটডাউনের কর্মসূচি ঘোষণা করে কর্মকর্তা সমিতি।
এই পরিস্থিতিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা পরবর্তীতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়।