ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি লঞ্চ ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনায় তিন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। এবং আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা এমভি ব্লাকবার্ড নামের লঞ্চটি দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটের বিপরীত দিকের একটি ডুবোচরে ধাক্কা খায়। এতে লঞ্চটির পেছনের অংশ ঘুরে যায় এবং তিন যাত্রী পদ্মা নদীতে ছিটকে পড়েন। আকস্মিক এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লঞ্চটিতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই থাকায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে লঞ্চের সামনের কাঁচ ভাঙচুর করেন। এবং মাস্টার পলাশ মিয়াকে মারধর করার চেষ্টা করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা নদীতে পড়ে যাওয়া তিন যাত্রীকে উদ্ধার করেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটিকে উদ্ধার করে দৌলতদিয়া ঘাটে নোঙর করা হয়।
আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক নুরুল আনোয়ার জানান, বর্ষায় ৬ নম্বর ফেরিঘাটের সামনের চর তলিয়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
লঞ্চযাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় মাস্টার সামনের কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না, যে কারণে চরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা টার্মিনাল সুপারভাইজার শিমুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, তিনজন যাত্রী নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন এবং তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে লঞ্চটি ঘাটে নোঙর করা আছে।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ত্রিনাথ সাহা জানান, বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা লঞ্চের সামনের অংশ ভাঙচুর করেন। এবং চালককে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চালক ও সহকারীকে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, আহত তিন যাত্রী গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :