দরিদ্র পরিবারের চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধারাবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা পুলিশ। বুধবার (২৫ জুন) সকালে তাকে আটক করার সময় ওই চার শিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান মিজান (৪৫) নারায়ণগঞ্জ সদরের পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তার বাড়ি।
জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় এর আগেও পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে মিজান শুক্রবার আর্ট ও কম্পিউটারের ক্লাস নেন। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডের বাসায় থাকেন। দরিদ্র পরিবারের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে টার্গেট করে তিনি নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলেন।
এর আগে গত ৬ জুন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে কৌশলে মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একই কায়দায় ১১ জুন একই শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২৩ জুন দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে মোহাম্মদপুরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এই চার কিশোরীকে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি সেখানে আটকে রেখেছিলেন। তাদের অভিভাবকদের কেউ ইটভাটার শ্রমিক, কেউ দিনমজুর বা ভাঙাড়ি বিক্রেতা।
এদিকে গত ২৪ জুন এক কিশোরী মিজানের বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে। পরে সে তার পরিবারকে তাদেরেআটকে রাখার বিষয়টি জানায়। পরে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে বুধবার সকালে মোহাম্মদপুর যায় এবং বন্দিদশা থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককেও আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।