ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভাঙা হলো, হবে জুলাই ‘গণমিনার’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ১১:১৮ এএম
বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকার বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়’ এবং তার আশপাশের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ এর স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই জায়গায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নির্মিত হবে ‘গণমিনার’। আগামী জুলাই মাসেই এর নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর চলে ভাস্কর্য প্রাঙ্গণের সাতটি দেয়াল ভাঙার কাজ। এর মধ্যে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিত্রিত ছিল।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিনে ভেঙে দেওয়া হয় ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্যটি। এরপর দীর্ঘদিন এটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে ছিল।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ভাস্কর্যটি অগোছালো ও ভাঙা অবস্থায় ছিল। সেই জায়গা পরিষ্কার করে নতুন কিছু করার চিন্তা করছি। জুলাই, বিজয় ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস মিলিয়ে একটি নতুন ভাস্কর্য-‘গণমিনার’ তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। এ অবস্থায় রেখে দিলে সবাই প্রশ্ন করবে। তাই জুলাইয়ের মধ্যেই দৃশ্যমান কিছু করা হবে।

২০২১ ও ২০২২ সালের বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজে প্রদর্শনের পর সেনাবাহিনীর উদ্যোগে স্থায়ীভাবে নির্মিত হয়েছিল ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ভাস্কর্য ও প্রাঙ্গণটি। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর এটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তিনি পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন।

এদিকে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে তৈরি হতে যাওয়া ‘গণমিনার’-এর জন্য গঠিত হয়েছে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’।

গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটি জানায়, এই মিনারের জন্য গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম সংবাদ সম্মেলনে জানান, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ। তাদের স্মরণেই এই মিনার তৈরি হবে। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে মিনারটির একটি প্রাথমিক রূপ দৃশ্যমান করার লক্ষ্য আমাদের।

উল্লেখ্য, পুরো বিজয় সরণি ধরে মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এতে সর্বসাধারণের অংশগ্রহণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।