ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

রাজধানী থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ০১:১২ পিএম
রাসেলস ভাইপার। ছবি-সংগৃহীত

ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করেছে সেভ ওয়ার্ল্ড লাইফ অ্যান্ড ন্যাচার (এসডব্লিউএএন) নামের একটি সংগঠন।

রোববার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার পর সাপটি উদ্ধার করা হয়।

এসডব্লিউএএন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আদনান আজাদ বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমরা তিনজন দোহার যাই। সেখান থেকে সাপটি উদ্ধার করি। বন বিভাগের নির্দেশনায় আমরা এটি অবমুক্ত করব।

এর আগে, গত বছর বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের আতঙ্ক ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ সময় রাসেলস ভাইপার সাপ মনে করে আতঙ্কে সব ধরনের সাপ পিটিয়ে মারা হয়েছিল।

তবে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে ৮৫ ভাগের বেশি সাপেরই বিষ নেই। এমনকি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ বিষধর সাপের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে। আর আতঙ্কিত হয়ে মানুষ যেসব সাপ মেরেছে তার বেশির ভাগই নির্বিষ ও পরিবেশের জন্য উপকারী।

প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই অন্যান্য প্রাণীর মতোই সাপও গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাপের ভূমিকা অপরিসীম। বস্তুত সাপ প্রকৃতির বন্ধু এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় অংশ। বাস্তুতন্ত্রের শীর্ষস্থানীয় মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে সাপ অন্যতম।

তারা বলেন, প্রকৃতির অংশ হিসাবে সাপ মেরে ফেললে এর প্রভাব পড়বে পুরো বাস্তুচক্রে। ফসলি ক্ষেতে সাপ মারলে ইঁদুরের প্রভাব বাড়বে। সাধারণত প্রতি বছরই ১০ থেকে ২০ শতাংশ ফসল ইঁদুর নষ্ট করে। ফলে নির্বিচারে সাপ মারলে ইঁদুরের সংখ্যা বাড়বে। উৎপাদন কমে যাবে ফসলের।