ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

সবজির বাজারে আগুন, বেড়েছে মুরগীর দাম

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
রাজধানীর কাঁচাবাজার। ছবি- সংগৃহীত

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে সবজির দাম। বিশেষ করে শাকসবজি ও পচনশীল পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ব্রয়লার মুরগির দাম।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ধুন্দল প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলমগীর হোসেন নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কমেছে এবং অনেক সবজির মৌসুম শেষ হয়েছে—সবমিলিয়ে সবজির দাম বেড়েছে বাজারে। নতুন করে সবজির মৌসুম শুরু হলে সরবরাহ বাড়বে আর তখন সবজির দাম কমে আসবে।

এদিকে, ঈদের পর দাম কমে গেলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫–১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ টাকা।

মাছের দোকানগুলোতে তাজা রুই, কাতল, পাবদা সাজানো। দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৪০ টাকা কেজিতে। পাবদা ৩৫০–৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০–৭০০, টেংরা ৬০০–৭০০, শিং ৪০০–৪৫০, কৈ ২০০–২২০ এবং তেলাপিয়া–পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০–২০০ টাকায়। দেশি শিং ও কৈ মাছের দাম অবশ্য এখনও অনেক বেশি—প্রতি কেজি যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা।

বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, আজকের বাজারে মুরগির দাম একটু বেড়েছে। গরু-খাসির দাম তো অনেক বেশি। সেই তুলনায় আমার মতো নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য মাছ এখন সবচেয়ে ব্যালেন্সড অপশন।