ঢাকা রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

মা ও বোনের ইচ্ছায় ঢাকাতেই চিরনিদ্রায় জারিফ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ১১:১৪ এএম
নিহত জারিফ। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জারিফ ফারহান (১৩)-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে ঢাকার উত্তরায়। তার মা ও বোনের ইচ্ছাতেই ঢাকায় তাকে দাফন করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় জামে মসজিদে জানাজা শেষে পাশের কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। জানাজা ও দাফনের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সকাল ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জারিফ। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং ঘটনার পর থেকেই সে আইসিইউতে ভর্তি ছিল।

জারিফের বাবা মো. হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘আজ বাদ জোহর ছেলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমার জারিফকে জান্নাত নসীব করেন।’

দাফনের পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান শহীদ জারিফের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো ওইদিনও সকালে জারিফের মা তাকে স্কুলে দিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। ক্লাস শেষে বাসায় একাই ফেরার কথা ছিল জারিফের। কিন্তু দুপুরে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন লাগার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত স্কুলে পৌঁছালেও জারিফকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

পরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তার বাবাকে জানানো হয়, জারিফ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এবং তার অবস্থা গুরুতর। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শনিবার সকালে সে মারা যায়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই যুদ্ধবিমান বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ১২ মিনিট পর ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।