ঢাকা সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

সন্তানহারা বাবা-মাকে হেনস্তা, ব্যাখ্যা দিল মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস। ছবি- সংগৃহীত

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ভয়াবহতার ক্ষত এখনো দগদগে। অথচ এ ট্র্যাজেডিতে প্রিয় সন্তানকে হারানো বাবা-মাকে মাত্র ২৬ দিনের মাথায় ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করতে দফায় দফায় নিরাপত্তা প্রহরীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুলের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাইলস্টোনে বিষাদময় বিমান দুর্ঘটনা সমগ্র জাতির জন্যই একটি দুঃখজনক অধ্যায়। দুর্ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছেন, তারা আমাদের সন্তান, ভাই-বোন এবং সহকর্মী। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের শোকাহত করেছে। আমরা শুরু থেকেই আন্তরিক সহমর্মিতাসহ হতাহত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।

এতে বলা  হয়েছে, হতাহতের পরিবারের তিন-চারজন সদস্য কলেজের প্রধান ফটকে এসে প্রবেশের কোনো রকম নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন ফটক রক্ষার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা।

কলেজ প্রাঙ্গণে কিছুটা বিশৃঙ্খলার তৈরি হয় উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা  হয়েছে, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকার্যক্রম চলার সময় এ ধরনের বিশৃঙ্খলা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসময় তারা (অভিভাবকরা) চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। কলেজের একটি একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান নেন, যখন ওই ভবনে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান চলছিল।

এতে আরও বলা হয়েছে, এ সময় তারা অনেকটা ধস্তাধস্তি করে একটি সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করেন এবং জোরে জোরে কথা বলতে থাকায় এক অপ্রতাশিত পরিবেশ তৈরি হয়। এ পরিস্থিতিতে সেমিনার কক্ষে এসে কলেজের একজন উপাধ্যক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন এবং অনুরোধ করেন তাদের নির্ধারিত প্রতিনিধি যেন অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি নিয়ে যান। কিন্তু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে তারা স্মারকলিপি না দিয়েই বের হয়ে যান, যা ছিল অপ্রত্যাশিত ও নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক।