রাজধানীতে নারীসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাসা থেকে রেজওয়ান ইসলাম রফিক (২২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত রেজওয়ান লক্ষ্মীপুর সদরে দিপুর দিঘী পুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ মিলন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে হাজারীবাগের চর ওয়াশপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আজ ভোরের দিকে ঘটনাস্থলের বাড়ির পঞ্চম তলার একটি পক্ষ থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো সিলিং ফ্যানের সাথে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও জানান, আমরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, ওই যুবক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কিছুদিন আগে তার চাকরি চলে যাওয়ায় সে মানসিকভাবে কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছিল। নিহতের পরিবারের স্বজনদের ধারণা অভাব অনটনের চিন্তায় সে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান। 

অপর ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন মধ্য বাড্ডার পঞ্চম তলার ড্রয়িং রুমের গ্রিলের গলায় ওড়না প্যাঁচানো উজ্জল সরদার (৫৫) নামে খ্রিস্টান ধর্মালম্বী এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নিহত উজ্জ্বল সরদার সাতক্ষীরা উপজেলার সুলতানপুরের বাসিন্দা মৃত আঞ্চনি সরদারের ছেলে। বর্তমানে মধ্য বাড্ডার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাফিজুর রহমান জানান, নিহতের নিকট আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি বর্তমানে ওই ব্যক্তিটি বেকার ছিলেন। গতকাল রাতের কোন এক সময় সবার অগোচরে ড্রয়িংরুমে জানানোর গ্রিলের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অপরদিকে রাজধানীর মুগদা থানাধীন মান্দা এলাকার একটি পাঁচ তলার বাসা থেকে আফরিন সুলতানা দিবা (২৪) নামে এক গৃহবধুর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত মরদহ উদ্ধার করেছে পুলিশ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরের দিকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

ঢামেকে কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতির মৃত্যু

বিস্তারিত পড়ুন

নিহত আফরিন সুলতানা দক্ষিণ মান্ডার মো. আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সাথে ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকতেন। 

মুগদা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ কামাল জানান, খবর পেয়ে গতরাতে ঘটনাস্থলের বাড়ি থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরের দিকে মারদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।