ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আ.লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: আবু হানিফ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ

গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) প্রার্থী আবু হানিফ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জে কালীবাড়ি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

আবু হানিফ বলেন, ‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার পূজা উদযাপন হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর। সরকার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে, এ জন্য ধন্যবাদ। আওয়ামী লীগের আমলেও এমন উৎসবমুখরভাবে পূজা উদযাপন হয় নাই—পূজার সময় নানাভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিত। এখন আওয়ামী লীগ পলাতক, ভারতে থেকে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষ নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দিবে না। বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এভাবে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। যদিও আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে দেশকে সাম্প্রদায়িক হিসেবে প্রমাণ করার কিন্তু দেশের মানুষ বারবার প্রমাণ দিচ্ছে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।’

তিনি বলেন, “আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় তাদের কার্যক্রম সচল হতে পারে।’

একটা কথা স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে যে দিন পালিয়ে গেছে সে দিনই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। এই দেশের জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে দেশ-বিদেশের চাপে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের শরীরে রক্ত থাকতে গণহত্যার বিচারের আগে বিদেশি শক্তির চাপে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ নাই। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো আবারও রাজপথে নামতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আল মোহাম্মদ মোস্তফা, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।