ঢাকা বুধবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৫

চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক সমন্বয়ক রাব্বিসহ ৪ জন রিমান্ডে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিসহ চারজনকে চাঁদাবাজির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান। রিমান্ডে পাঠানো অপর তিন আসামি হলেন- আবু সুফিয়ান, আব্দুর রহমান ওরফে মানিক এবং হাবিবুর রহমান ফরহাদ।

এ ছাড়া শাহিন হোসেন নামের এক আসামিকে প্রয়োজনে একদিন জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে প্রসিকিউশন পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসান রাশেদ পরাগ জানিয়েছেন। মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত রোববার রাতে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।

ক্লিনিকের মালিক আফরুজা শিল্পী বাদী হয়ে গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। পরে সেই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিন করে রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই নাজমুল ইসলাম। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে। শুনানির জন্য তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

মানিক এবং শাহিনের পক্ষে তাদের আইনজীবী মাসুদ পারভেজ এবং অন্য আসামিদের পক্ষে মাসুদ রানা রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চার আসামিকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে এবং এক আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।

মামলায় বলা হয়, ২০ সেপ্টেম্বর রাতে শাহিন সন্তান প্রসব করাতে তার স্ত্রীকে ‘সেইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ নিয়ে যান। নবজাতকের ‘অবস্থা খারাপ’ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে শাহিন অনুরোধ করে বলেন, যেভাবে হোক তার স্ত্রীর সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করতে। পরে তার স্ত্রী মৃত সন্তান প্রসব করেন।

এজাহারে বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শাহিনকে জানায়। তিনি অর্থ দিতে চাইলেও ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অর্থ না নিয়েই ছাড়পত্র দিয়ে দেয়।

বাদীর অভিযোগ, ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে আসামিরা হাসপাতালে এসে বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনায় মামলা না করার বিনিময়ে ৩ লাখ টাকা ‘চাঁদা’ দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা হাসপাতালের ‘যন্ত্রপাতি ভাঙচুর’ করে। একপর্যায়ে আসামিরা হাসপাতাল থেকে একজনকে ‘তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি’ দেয়। তখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিলে তারা চলে যায় এবং বাকি টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে বলে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা মোবাইলে ফোন করে বাকি টাকা দাবি করতে থাকে এবং নানা ধরনের ‘হুমকি’ দেয়।