দুদকের মামলায় অভিযুক্তরা এখন ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) স্বাভাবিক কার্যকমকে বাধাগ্রস্থ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে । এসব ব্যাসায়ীরা ইউসিবেএলের পরিচালক হলেও গত বছর রাজনৈতিক পটপরির্বতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা র্পষদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন পর্ষদ করলে তারা বাদ পড়ে যান। বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বিশেষ সাধারন সভা ( ইজিএম) করার উদ্যোগ নিলেও অভিযুক্ত পরিচালকরা তাতে বাদ সাধে। তারা নিজেদের দুদকের মামলায় শেয়ার জব্দের তথ্য গোপন করে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন । ফলে আদালত আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠেয় ইউসিবিএলের এজিএম আপাতত স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত রোববার ( ২৭ জুলাই ) যে কয়জন শেয়ার হোল্ডার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের কয়েকজনের শেয়ার জব্দ হয়েছে গত সপ্তাহে।
আদালতের আদেশে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পলাতক সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান এবং তার স্ত্রীসহ ইউসিবির আরও সাতজন পরিচালকের শেয়ার জব্দ করা হয়েছে। দুদকের আবেদনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের রায়ে মোট ৫৭০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।
অবরুদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে ইউসিবিলের অন্য যেসব পরিচালক রয়েছেন তারা হলেন- সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের স্ত্রী ও ইউসিবিএলের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান , বশির আহমেদ , আনিসুজ্জামান চৌধুরী, এম এ সবুর , বজল আহমেদ , নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং রুক্সানা জামান।
গত রোববার যে কয়জন শেয়ারহোল্ডার উচ্চ আদালতে ব্যাংকের ইজিএম স্থগিতের আবেদন করেন তাদের মধ্যে আছেন- এম এ সবুর ও বজল আহমেদ। ইজিএম বন্ধের আবেদনের মধ্যে আরও আছেন ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক শওকত আজিজ রাসেল ,যার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাংকের ঋণ খেলাপির অভিযোগ আছে ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আদালতের নির্দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)–এর আরও সাতজন সাবেক পরিচালকের মোট ২৬টি অ্যাকাউন্টের শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত প্রায় ৫৭০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দের আদেশ দেন।জব্দ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে মোট ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার রয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৭৬ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এ শেয়ারগুলো নিচের ব্যক্তিদের নামে থাকা শেয়ারের পরিমান রুকমিলা জামান: ৩১,০০,৯৩০টি,বশির আহমেদ: ৩১,১৮,৩৮৫টি, আনিসুজ্জামান চৌধুরী (সাইফুজ্জামানের ভাই): ৪৩,৩৮,৯৭৩টি, রুক্সানা জামান (আনিসুজ্জামানের স্ত্রী): ৩১,০৩,০৮৯টি,এম এ সবুর: ৩৩,৬৭,১০৮টি,বজল আহমেদ: ২৫,৮৫,৬৪২টি,নুরুল ইসলাম চৌধুরী (সাইফুজ্জামানের মামা): ৩১,০১,৩৭৬টি এবং আসিফুজ্জামান চৌধুরীর (সাইফুজ্জামানের ভাই) ৪৩,৭৩,৪৬৬টি । এদের মধ্যে এম এ সবুর ও বশির আহমেদ উচ্চ আদালতে আবেদন করেন ইউসিবেএলের ইজিএম বন্ধের জন্য।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে গত সপ্তাহেই রূপালী বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল । ইজিএম স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে আদলতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি ইউসিবেএলের জনসংযোগ বিভাগ ।
আপনার মতামত লিখুন :