আদাবরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এখন পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় জিম্মি করে রাখা এক যুবককে উদ্ধারে গেলে সন্ত্রাসীরা এক পুলিশ কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখম করে।
জানা গেছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালায় কিশোর গ্যাং ‘কব্জি কাটা’ গ্রুপের সদস্যরা। হামলায় আল আমিন নামের এক কনস্টেবলসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
হামলায় জড়িতদের ধরতে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার পর থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত শতাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
রাজধানীর আদাবরের শ্যামলী হাউজিংয়ে এক মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসলে পলাশ নামের যুবককে জিম্মি করে একদল সন্ত্রাসী। এরপর মুঠোফোনে পলাশের পারিবারের কাছে টাকা দাবি করে এ সন্ত্রাসীরা।
পলাশের পরিবার পুলিশের সাহায্য চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্য আল আমিনসহ ৩ জনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।
আহতরা পঙ্গু ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদাবর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান।
তিনি জানান, আদাবরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কলে যায় পুলিশের একটি টহল টিম। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরপরই পুলিশের টহল গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়। এতে গাড়িচালক কনস্টেবল আল আমিন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া আরও দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আদাবর ১০ নাম্বার এলাকার বালুর মাঠের কব্জি কাটা গ্রুপের সদস্য রনি ও জনির নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। এ ছাড়াও এই হামলায় নাজির, জনি, ওসমান, রনি, দাঁতভাঙ্গা সুজন, কব্জি কাটা হৃদয় ও গাঁজা ব্যবসায়ী রাজু জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তারা সবাই কব্জি কাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ারের হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করত।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন