বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম

সময়ক্ষেপণ নয়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়তে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম

এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ছবি- সংগৃহীত

এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ছবি- সংগৃহীত

দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি আনতে দ্রুত পণ্য খালাস ও হয়রানিমুক্ত করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, শুল্ক স্টেশন থেকে এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই পণ্য ছাড়তে হবে। দেরি করে পণ্য ছাড়লে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হয়, যা মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘মিট দ্য বিজনেস’ শীর্ষক অংশীজন সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় ফিকির নির্বাহী পরিচালক ও ব্যবসায়ী নূরুল কবিরের উপস্থাপনায় এনবিআরের বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও অভিযোগের উত্তর দেন।

আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাসের নির্দেশনা দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পণ্য ছাড় নিশ্চিত করা। অনেক সময় পণ্য আসার পর অ্যাসেসমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়, এতে ডেমারেজ গুনতে হয়। এভাবে ব্যবসা টেকসই হয় না। যদি কমিটি করতেই হয়, তবে মাল আসার আগেই করতে হবে।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘যারা ব্যবসা করতে আসছেন, তাদের যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়, এটা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। কোনো সমস্যা বা আলোচনা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তা যদি অনৈতিক আচরণ করেন বা হয়রানির চেষ্টা করেন, তাহলে অনলাইনে অভিযোগ দিন। এনবিআর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনে রাখবেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন জনগণের টাকায় হয়, তাই ব্যবসায়ীদের হয়রানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসা বাড়লে রাজস্ব বাড়বে। তাই আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করাকেই প্রধান লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছি।’

পণ্যের ভ্যালুয়েশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভ্যালুয়েশন নিয়ে অযথা জটিলতা তৈরির প্রয়োজন নেই। এনবিআর ন্যায্য ভ্যালুয়েশনই গ্রহণ করবে। কর ফাঁকি দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে অযথা কাস্টমস ডিউটি বাড়ানোর দরকার নেই। সমস্যা হচ্ছে, এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ‘মাথা’ বেশি হয়ে যাচ্ছে ফলে কাজের গতি কমে যাচ্ছে।’

সভায় ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধি দারাজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অনলাইন ও অফলাইন বিক্রির ভ্যাটের হারে বৈষম্য রয়েছে। প্রতিনিধি বলেন, ‘ই-কমার্সে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, অথচ একই পণ্য দোকানে বিক্রি করলে দিতে হয় সাড়ে ৭ শতাংশ। যেমন, মোবাইল ফোন দোকানে বিক্রি হলে ৭.৫% ভ্যাট, কিন্তু অনলাইনে হলে ১৫%। এতে ব্যবসায় ভারসাম্য থাকে না।’

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং ন্যায্য সমাধানের আশ্বাস দেন।

Link copied!