চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মন্ত্রী চেন সু বলেছেন, ‘চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির এই বিশেষ সময়ে জনগণের মাঝে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও গভীর হচ্ছে। দুই দেশের নেতাদের কৌশলগত দিকনির্দেশনায় চীন-বাংলাদেশের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে। তিনি বলেন, চীনের ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন পথনকশা তৈরি করবে, যা বাংলাদেশের সঙ্গেও নতুন সহযোগিতার সুযোগ এনে দেবে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারের কার্যালয়ে ‘চীনের পঞ্চদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সুযোগ ভাগাভাগি করে নিতে চীন ও বাংলাদেশের যৌথ উন্নয়নের প্রচারণা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন চেন সু। ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টার। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল চায়না মিডিয়া গ্রুপের সেন্টার ফর এশিয়ান অ্যান্ড আফ্রিকান ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চেন সু বলেন, চীন ও বাংলাদেশ দুটি দেশই গ্লোবাল সাউথ-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। চীন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার এবং চীনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক অগ্রগতিতে দৃশ্যমান অবদান রাখছে।
মিডিয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আরও ঘন ঘন চীন সফর এবং জ্বালানি, অবকাঠামো, ডিজিটাল ও সবুজ অর্থনীতি খাতে যৌথ উদ্যোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান চীনা মন্ত্রী চেন সু। তিনি জানান, বাংলাদেশে চীনা প্রবাসীরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ‘সোনালী সেতু’ হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের উদ্যোগে শিল্প ক্লাস্টার, বিশেষ করে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশে এসেছে। মন্ত্রী আরও বলেন, চীনা প্রবাসী উদ্যোক্তারা চীনের প্রস্তাবিত গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন।
সম্প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির অধিবেশন ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এটি আগামী পাঁচ বছর চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বৃহৎ রূপরেখা হিসেবে কাজ করবে। এ তথ্য জানিয়ে চেন সু বলেন, পরিকল্পনাটি চীন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে ‘জয়-জয়’ সহযোগিতার সুযোগ বাড়াবে।
প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংকে উদ্ধৃত করে চীনা মন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সঙ্গে হাঁটা মানে সুযোগের সঙ্গে হাঁটা, চীনের ওপর বিশ্বাস মানে আগামীকালের ওপর বিশ্বাস, এবং চীনে বিনিয়োগ মানে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ।’
অনুষ্ঠানে চীনের সিনচিয়াং সফরের স্মৃতিচারণ করে সেমিনারে অংশ নেওয়া কবি ও কথাসাহিত্যিক দৈনিক সময়ের আলোর সহকারী সম্পাদক আলমগীর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি—সিনচিয়াংয়ের মুসলমানরা কোনো নিপীড়নের শিকার নয়। বরং তারা তাদের ধর্মীয় জীবন, প্রার্থনা, এসবই নিজস্ব নিয়মে পালন করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী; অবকাঠামো থেকে শিক্ষা, প্রযুক্তি থেকে সংস্কৃতি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। আর সেই বন্ধুত্ব তখনই পূর্ণতা পায় যখন ভুল ধারণা দূর হয়, যখন আমরা পরস্পরকে নিজের চোখে দেখি, মন দিয়ে বুঝি।’
অন্যদিকে, সিচাং ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে একাত্তর টিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার ইসরাত আমিন বলেন, ‘সিচাংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছে। বিশেষ করে, সিচাংয়ের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে—এটিই ছিল সবচেয়ে মুগ্ধ করার মতো বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ে ঘেরা কঠিন পরিবেশেও আধুনিক অবকাঠামো দেখে বিস্মিত হয়েছি। দুর্গম এবং অনুন্নত এলাকা বলে জানতাম সিচাংকে। সেখানে গিয়ে দেখেছি বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।’
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে স্থাপিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টার। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠান। এমনটা জানিয়ে সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম রানা বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা চীনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্যাভিলিয়ন স্থাপনের জন্য দুই দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছি।’ এটি চীনের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের পাশাপাশি লজিস্টিকস, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা শক্তিশালী করবে বলেও জানান তিনি।
সেমিনারে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি শি চিয়াওছুন বলেন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এফএও-তে যোগ দেওয়ার পর থেকে সংস্থাটি ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি উন্নয়ন ও গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভা চায়না একাডেমি অব সায়েন্সেসের সহায়তায় ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান প্রায়োরিটি প্রোডাক্ট (ওসিওপি) প্রকল্পটিও বাংলাদেশের বিশেষ কৃষিপণ্যের টেকসই উৎপাদন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, জলবায়ু সহনশীলতা ও বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানান তিনি। শি চিয়াওছুন বলেন, কৃষির আধুনিকীকরণ, ডিজিটাল রূপান্তর ও জলবায়ু-বান্ধব প্রযুক্তিতে চীনের অগ্রগতি বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।
চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হান খুন বলেন, ‘চীন সম্প্রতি ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি শুধু চীনা কোম্পানির জন্য নয়, বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার জন্যও একটি বিস্তৃত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে।’ হান খুন আরও বলেন, ‘চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন দুই দেশের সরকার ও ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে সেতু হিসেবে কাজ করবে। আমরা সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশি উন্নয়ন চাহিদা বোঝার জন্য প্রণোদিত করব, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াবো এবং অবকাঠামো, উৎপাদন, সবুজ শক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত প্রকল্প গড়ে তুলব।’
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘চীনের নজিরবিহীন উন্নয়ন বিশ্বকে বিস্মিত করছে। চীন নিজের ভবিষ্যৎ দেখেছিল। দেশটি চেয়েছিল এই ভবিষ্যতের সঙ্গে সমগ্র বিশ্বকে যুক্ত করতে। আজ বাংলাদেশে বসেও আমরাও সেই ভবিষ্যতের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, চীনের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন পদ্ধতি আমাদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় হতে পারে।’
সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান বলেন, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘ ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। প্রাচীন সিল্ক রোড থেকে শুরু করে আজকের যুগান্তকারী অবকাঠামো প্রকল্পগুলো—পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট—এসবই দুই দেশের বিশ্বাস ও সহযোগিতার প্রতীক। তিনি বলেন, চীনের ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে। উচ্চমানের উন্নয়ন, সবুজ প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, ডিজিটাল রূপান্তর এবং বৈশ্বিক সংযোগের ওপর জোর দিয়ে এই পরিকল্পনা দুই দেশের জন্য যৌথ সহযোগিতার পথ খুলেছে।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান বলেন, চীনের ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আধুনিকায়ন, উদ্ভাবন, ডিজিটাল রূপান্তর, সবুজ জ্বালানি ও উন্নত উৎপাদনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্যও শিক্ষণীয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগে সিনথেটিক ও ফাংশনাল টেক্সটাইলের মতো বস্ত্রপণ্যে যৌথ উদ্যোগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল ফাস্ট-ফ্যাশন বাজারে স্থানীয়ভাবে এসব কাপড় উৎপাদন রপ্তানি প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ, এবং চীনের প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাংলাদেশকে দ্রুত সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশ এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে চীনের ডিউটি-ফ্রি ও কোটা-ফ্রি বাজার সুবিধা আরও ৩–৫ বছর বহাল রাখার অনুরোধ জানান তিনি। পাশাপাশি দ্রুত একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মাহমুদ হাসান খান। পাট, কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ, চামড়া ও সিরামিক শিল্পেও চীনা বিনিয়োগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও বহুমুখী করতে পারে বলে মনে করেন বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট।
চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মন্ত্রী চেন সুর ঢাকা সফর দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের শক্ত প্রমাণ— এমনটা উল্লেখ করে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বলেন, বাংলাদেশ এখন উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যে উন্নয়ন বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে এবং এ লক্ষ্য অর্জনে কনসেশনাল ঋণ, অনুদান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উদ্ভাবননির্ভর অর্থনীতি, সামাজিক কল্যাণ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনাটি উভয় দেশের জন্য নতুন মাত্রার সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করছে বলেও মনে করেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে আরও বেশি উপকার পেতে পারে। এ উদ্যোগ স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করবে, রপ্তানি বৈচিত্র্যায়ন ঘটাবে এবং দক্ষিণ–দক্ষিণ সহযোগিতা বাড়াবে। তার মতে, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা চীনা সমর্থিত অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চলগুলো স্থানীয় শিল্পোন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে বৈচিত্র্য বাড়াতেও সহায়তা করছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনের ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শুধু চীনের আধুনিকায়ন অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নয়, এটি বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগীদের জন্যও নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। উচ্চমানের উন্নয়ন, সংস্কার–উদ্ভাবন এবং জনকল্যাণকে কেন্দ্র করে এই পরিকল্পনা ২০২৬–২০৩০ সময়কালে চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির রূপরেখা নির্ধারণ করবে। তিনি জানান, এই পরিকল্পনা চীন-বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্যও নতুন দরজা খুলে দেবে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী বছর ১৫তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম বছর এবং বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে যোগদানের দশম বর্ষপূর্তি—যা দুই দেশের সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার ঐতিহাসিক সুযোগ। প্রযুক্তি হস্তান্তর, অবকাঠামো, আধুনিক কৃষি, উন্নত উৎপাদন, ডিজিটাল অর্থনীতি–সহ বিভিন্ন খাতে শিল্প–সমন্বয় ও সক্ষমতা বাড়াতে চীন প্রস্তুত। দারিদ্র্য হ্রাস, গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিল্পায়নের অভিজ্ঞতাও বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন—যৌথ প্রচেষ্টায় চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং দুই দেশ মিলিতভাবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন অধ্যায় রচনা করবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন প্রচারের বাংলাদেশ বিষয়ক পরিষদের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট চাং ছিংবিন, ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কান চিয়াপিং ও চাও শিবো, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট আ স ম কামাল উদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, বাংলাদেশে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির যোগাযোগ প্রধান লি খুন এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালাসহ অনেকে।

