ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। মাত্র ৪২টি শ্রমখাতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত আছে। বাকিদের জন্য কোনো আইনি সুরক্ষা নেই। এখনো মালিক-শ্রমিক বৈষম্য দূর হয়নি।’
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রমিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন ও তরমুজ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘শ্রমিকদের ঘামেই মিশে আছে আমাদের দেশের উন্নয়ন। তারাই দেশের উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি।’
শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আজকের আয়োজন শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানানো এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান ও অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সমন্বয়ক এস. এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রব্বানী, ইয়াশিরুল কবীর, তালাবায়ে আরাবিয়ার সাবেক সেক্রেটারি সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত প্রমুখ।
আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ আয়োজন। তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং সম্মান প্রতিষ্ঠাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।