ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ, ২৩ বাগানে চা উৎপাদন ব্যাহত

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চা বাগান, ছোট শিল্পকারখানা, যানবাহনচালকসহ সাধারণ গ্রাহকরা।

বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায়। টানা ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সীমিত পরিসরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। রোববার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৭০ মেগাওয়াট হলেও পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আপাতত ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। শাহজিবাজার উপকেন্দ্র মেরামত শেষ হলে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।’

বিদ্যুৎবিভ্রাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার ২৩টি চা বাগান। এখন চা পাতা সংগ্রহের ভরা মৌসুম। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় কারখানায় পাতা শুকানো যাচ্ছে না। 

তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক দেওয়ান বাহাউদ্দিন লিটন বলেন, ‘এই সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন। প্রচুর চা পাতা পচে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

ছোট শিল্পকারখানার উৎপাদনও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত যানবাহন চালকেরাও বিদ্যুৎ না থাকায় যানবাহন চালাতে পারছেন না, যার প্রভাব পড়ছে তাদের আয়ে।

শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল খান বলেন, ‘পিডি ব্রেকার ফেলের কারণে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, রোববার দুপুরের মধ্যেই উপকেন্দ্র সচল করা সম্ভব হবে।’