ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা আশিকুর রহমান।
এ ঘটনায় আরও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে আদালতে মামলা করেছেন ওই সাবেক ছাত্রদল নেতা।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘হাসিনার আস্থা’ ব্যানারে সমবেত হয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে গালিগালাজ করে। পরদিন ৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় গেইটে সমবেত হয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় তারা। হামলায় গুলি ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়েছে।
আশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, ঘটনার পর স্থানীয় থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও পুলিশ দীর্ঘ তিন মাস গড়িমসি করেছে। ফলে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাছিমা খাতুন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকিবুল হাসান রনিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতা ইব্রাহিম খলিল, সাব্বির আহমেদ, নজরুল ইসলাম বাবু, বর্তমান সভাপতি আল-মাগমুদ কায়েস, রানা, রাকিবুল ইসলাম, আপেল মাহমুদ, রিয়েল সরকারসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে।
তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোশাররফ শবনম, ড. সেলিম আল মামুন, ড. উজ্জল কুমার প্রধান, ড. নজরুল ইসলাম, সঞ্জয় মুখার্জী, ড. শফিকুল ইসলাম, হীরক মুশফিকসহ আরও অনেকে।
মামলার বাদী আশিকুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার পর ন্যায়বিচার না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই যেন দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম জানান, আদালত দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন জমা পড়ার পর আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।