ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে বর্বর আগ্রাসনের মাঝেই আরও ৩টি মুসলিন প্রধান দেশে একদিনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সোমবার (৫ মে) গাজা, ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ায় একইদিনে হামলা চালিয়েছে দখলদাররা। এদিন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত হন।
গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানকার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে হাজার হাজার অসুস্থ ও আহত মানুষের জীবন এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নতুন করে স্থল অভিযানের মাধ্যমে গাজার ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হবে।
এরই মধ্যে, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ৬৫ দিনে পৌঁছেছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। খাদ্য সংকটে রীতিমতো দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে উপত্যকাটিতে। খাদ্যের অভাবে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের পর শুরু হওয়া আগ্রাসনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫২ হাজার ৫৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১০ জন আহত হয়েছেন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা। এই পরিকল্পনার মধ্যে গাজা পুরোপুরি দখল ও ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো বিষয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে গাজায় হামলার উদ্দেশ্যে হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা ডেকে পাঠিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও হামাসকে পরাজিত করতে চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ধরণের পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
সামনের সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরেই এই পরিকল্পনা কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও জানা যাচ্ছে যে, প্রাইভেট কোম্পানির মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ ও বিতরণের একটি পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা।
এর ফলে দুই মাস ধরে সেখানে ত্রাণ সরবরাহে যে অবরোধের অবসান হতে পারে। এই অবরোধের কারণে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে খাবার ও অন্যান্য জরুরি জিনিসপত্রের ভয়াবহ সংকট দেখা গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা