ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। সিজদা নামাজের একটি রুকন। নামাজ আদায়ে অবশ্যই সিজদা করতে হয়। হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সিজদা করতেন এবং সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বলতে থাকতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬৯৯)
নির্দিষ্ট এ তাসবিহটি ছাড়াও সিজদাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বেশ কিছু জিকির পাঠের বর্ণনা পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি জিকির হলো-
বাংলা উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগ ফিরলি।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, হে আমাদের রব, আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন। (বুখারি, হাদিস: ৮১৭)
সিজদাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও যে জিকিরটি করতেন,
বাংলা উচ্চারণ: সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুল মালাইকাতি ওয়া রুহ।
বাংলা অর্থ: সকল ফেরেশতা ও রুহের (জিবরাইল আ.) প্রতিপালক মহিমান্বিত ও অত্যন্ত পবিত্র। (মুসলিম, হাদিস: ৯৭৮)
তবে সিজদা অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। তিনি বলেছেন, ‘সাবধান, আমাকে নিষেধ করা হয়েছে, আমি যেন রুকু বা সিজদা অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত না করি। তোমরা সিজদা অবস্থায় বেশি বেশি দোয়া করবে। কারণ সিজদা হলো তোমাদের দোয়া কবুল হওয়ার উপযোগী সময়।’ (মুসলিম, হাদিস: ৯৬১)
আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা যখন সিজদারত অবস্থায় থাকে, তখন সে প্রভুর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। সুতরাং তোমরা এ সময় (সিজদায়) বেশি বেশি দোয়া করো।’ (মুসলিম, ১/৩৫০)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সিজদা অবস্থায় তোমার সাধ্যমতো বেশি দোয়া করবে। কারণ এ সময় তোমাদের দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।’ (মুসলিম, ১/৩৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘প্রতিপালকের অনুগ্রহ লাভ করার সর্বোত্তম মুহূর্ত হলো বান্দার সিজদারত অবস্থা। অতএব তোমরা এ সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করো।’ (মুসলিম, হাদিস: ৯৭০