ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। প্রায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতে সোমবার (৫ মে) বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ কয়েক দশক পরে সাধারণ জনগণের জন্য যুদ্ধকালীন মহড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) ভারতজুড়ে প্রায় ২৫০ জায়গায় এ মহড়া হবে। চিরশত্রু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সাধারণ জনগণকে প্রস্তুত করতেই এই বেসামরিক মহড়া।
মহড়া উপলক্ষে রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সাধারণ জনগণের জন্য আগামীকাল ৭ মে দেশের ২৪৪টি জেলায় যুদ্ধকালীন মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সব বিজেপি সংসদ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসন সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে এ মহড়ায় অংশ নেবেন।
জরুরি অবস্থায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির অনুকরণে বাঙ্কার তৈরি, যুদ্ধযান ও সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ।
মঙ্গলবার (৫ মে) ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ভার্চুয়ালি সারা দেশে মহড়ার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করছেন।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এর পরই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে উঠেছে।
কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণক রেখায় টানা ১২ রাত উভয় পক্ষের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধকালীন মহড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত সরকার।