সম্প্রতি এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষকদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।
একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে বদলির এই নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
বদলির সাধারণ শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্য পদের চাহিদা-বিবরণ প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করবে। প্রকাশিত শূন্য পদের বিপরীতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলির আবেদন আহ্বান করবে।
সমপদে বদলির জন্য পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলির আবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা সর্বোচ্চ ৩ টি কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে বদলির জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে আবেদন করতে পারবেন। প্রথম যোগদানের পর চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করার জন্য যোগ্য হবেন। বদলি হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যূনতম দুই বছর কর্মে নিয়োজিত থাকার পর পরবর্তী বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বদলির জন্য কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকতে হবে। একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
একটি শূন্য পদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে নিম্নোক্ত অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে হবে: নারী, স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থল, জ্যেষ্ঠতা, দূরত্ব।
বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এনটিআরসিএ শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে ২ জন শিক্ষক বদলির সুযোগ পাবেন। তবে পারস্পরিক বদলির ক্ষেত্রে এ সংখ্যা প্রযোজ্য হবে না।
অনলাইন আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বদলি-পদায়নের বিষয়টি নিষ্পন্ন করতে পারবেন। বদলিকৃত শিক্ষকের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :