স্কুলে যাননি ৯ মাস, তবুও তুলছেন নিয়মিত বেতন এক শিক্ষক দম্পতি। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের সুরীর চালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।
অভিযুক্তরা হলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক হাজেরা খাতুন। কোনো ছুটি ছাড়াই তারা মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে এবং তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন একই বছরের ৭ নভেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এই দীর্ঘ সময়ে তারা হাজিরা খাতায় সই না করেই ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কফিল উদ্দিন যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। নিজের স্ত্রীকে অবৈধভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন জানান, ‘আমরা স্কুলে যেতে চাই। কিন্তু সেখানে আমাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আমাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন, আমরা তার জবাব দেব।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষক দম্পতির অনুপস্থিতির বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুনুর রশিদ জানান, ‘কোনো শিক্ষক অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :