জালিয়াতির মাধ্যমে বেসরকারি মাদ্রাসায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে নরসিংদীর শেখেরগাঁও জে ইউ ফাজিল মাদ্রাসার দুই প্রভাষককে বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে তাদের উত্তোলিত বেতন সরকারি কোষাগারে জমা দিতে এবং ফৌজদারি মামলার উদ্যোগ নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ শাখা থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, প্রভাষক শুভ (আইসিটি; ইনডেক্স নম্বর : M0036***) ও প্রভাষক চুলাইমান (আরবি; ইনডেক্স নম্বর: M0052***) এনটিআরসিএ-এর নিবন্ধন সনদ এবং সুপারিশপত্র জাল ও ভুয়া উপস্থাপন করে চাকরি নেন।
এনটিআরসিএর ২০২৫ সালের ২৮ মে তারিখের স্মারকের ভিত্তিতে তাদের এমপিও বাতিল করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুটি পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গঠিত এমপিও বাছাই কমিটির সুপারিশে।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সতর্ক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে যেন কোনো জাল সনদধারীর আবেদন প্রেরণ না করা হয়। একইসঙ্গে, বেতন ফেরতের বিষয়টি দ্রুত সম্পন্ন করে প্রমাণসহ ফৌজদারি মামলার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্দেশনা বাস্তবায়নে অবহেলা বা গাফিলতি দেখা গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকেই দায় নিতে হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এনটিআরসিএ দায়িত্ব পালন করে আসছে। প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে একটি কেন্দ্রীয় তালিকা তৈরি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে সম্প্রতি জাল সনদ ও ভুয়া সুপারিশপত্রের মাধ্যমে চাকরির অভিযোগ বাড়ছে। এনটিআরসিএ ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে নিয়মিত তদন্ত ও ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :