পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষককে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল আওয়াল। এর আগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ডে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ওই শিক্ষকের নাম সুব্রত কুমার বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতোকোত্তরের এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুব্রত ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সুব্রত কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এ অভিযোগ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটি ৯ অক্টোবর সুব্রতকে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দেয়।
এরপর এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে তারা এ অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর তারা ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন বিরোধ নীতিমাল-২০০৮’ অনুযায়ী সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে।
এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে সুব্রত কুমার বিশ্বাসের ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল আওয়াল বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে এক শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা আইন অনুযায়ী হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :