বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানের এমপিও স্থগিতসহ কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি অত্র অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত প্রদান করা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে কারণ ব্যতিরেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটি কর্তৃক কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন ভাতাদির সরকারি অংশ (এমপিও) প্রদান করা হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বিধি অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন ভাতা শিক্ষক কর্মচারীদের প্রদান না করার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটিকে প্রদান করা হয়নি। এমনকি কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কমিটি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত করা হলে তার খোরপোষ ভাতাও বন্ধ করা যাবে না।’
মাদ্রাসা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য এমপিও নীতিমালায় স্বাক্ষরকারী এবং প্রতিস্বাক্ষরকারীর একাধিক বিকল্প রাখা হয়েছে। যেমন- সুপার/অধ্যক্ষ না থাকলে সহসুপার/উপাধ্যক্ষ এবং সহ:সুপার/উপাধাক্ষ্য না থাকলে জ্যেষ্ঠ্য শিক্ষককে বেতন বিলে স্বাক্ষর এবং সভাপতির অনুপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক/জেলা প্রশাসককে প্রতিস্বাক্ষর করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রদান না করা বিধিবহির্ভূত এবং অনভিপ্রেত।
এ ছাড়াও কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলে তা সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি (বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার বা স্থায়ী বরখাস্ত) করার বিধান রয়েছে যা প্রতিপালিত হচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক শৃংখলার সুবিধার্থে বর্ণিত বিধান প্রতিপালন অত্যন্ত জরুরি।’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার সুবিধার্থে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ নির্দেশনা প্রতিপালন না করলে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত/সর্বশেষ পরিমার্জিত)’ অনুসারে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত/সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা (গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ৩৮ অনুসারে কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’