জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বন্ধ থাকা দুটি হলে ভোটগ্রহণ পুনরায় শুরু হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে এবং দুপুর ১টার দিকে তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সকাল থেকে দুই হলে ভোট বন্ধ করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ ছিল, ব্যালট পেপারে এক প্রার্থীর স্থানে অন্য প্রার্থীর ছবি বসানো হয়েছে, যা দিয়ে সহজেই ভোট কারচুপি সম্ভব। এ ছাড়া ভোটারদের হাতে ভোট দেওয়ার পর অমোচনীয় কালি না দেওয়ার অভিযোগও তোলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রভোস্টদের বাগবিতণ্ডা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো, আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ভোটগ্রহণ আবারও শুরু হয়েছে এবং অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন