ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর টিএসসি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে আগে থেকেই সিল মারার আলোচিত অভিযোগে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। অভিযোগকারী ওই ছাত্রী একবার নয়, বরং চারবার বুথে প্রবেশ করেছিলেন বলে ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চিফ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উল্লাহ জানান, ওই নারী শিক্ষার্থীর এ ধরনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং সন্দেহজনক মনে হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে এক ছাত্রী অভিযোগ করেন যে, তার একটি ব্যালটে আগে থেকেই দুটি প্রার্থীর পক্ষে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল। তিনি ওই ব্যালট গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। পরে পোলিং অফিসার ও ভোট ব্যবস্থাপকেরা ব্যালটটি আলাদা করে রেখে তাকে নতুন ব্যালট সরবরাহ করেন। তিনি পুনরায় ভোট দিয়ে চলে যান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয, ঘটনার বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরপরই চিহ্নিত ব্যালটটি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের অনুরোধ জানানো হয়।
এর পরে সেখানে উপস্থিত তিন জন শিক্ষককে ঘটনাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তাদের বর্ণনার সঙ্গে কেন্দ্র প্রধানের বক্তব্যের মিল পাওয়া যায়। ফলে ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসিত হয় এবং এখানে প্রচলিত নিয়ম ও প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
পরবর্তীতে ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজ হাতে আসে। পরে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অভিযোগকারী ছাত্রী চারবার বুথে প্রবেশ করেছিলেন।
- প্রথমবার প্রায় ৪০ সেকেন্ড
- দ্বিতীয়বার প্রায় ৬৬ সেকেন্ড।
- তৃতীয়বার মাত্র ২ সেকেন্ড।
- আর চতুর্থবার তিনি ১০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বুথে অবস্থান করেন।
- এ সময় তাকে বুথ থেকে বারবার বের হতে এবং উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায়।
চিফ রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণের নিয়ম মেনে অভিযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হলেও শিক্ষার্থীর বুথে বারবার প্রবেশ ও অবস্থান সন্দেহজনক মনে হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
রূপালী বাংলাদেশকে বিজ্ঞপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালরে ডিরেক্টর অব পাবলিক রিলেশনস মো. রফিকুল ইসলাম।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ ২৮টির ২৩টি পদেই বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা। এ প্যানেলের বাইরে বাকি পাঁচটি পদের মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও একটিতে বামপন্থি প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন