বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য (ইউকে) শিক্ষামূলক অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। বিশেষ করে স্কলারশিপের সুযোগ বাড়ানো এবং দু’দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ গবেষণাকে উৎসাহিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এ বিষয়ে প্রকাশিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, শুক্রবার লন্ডনে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম এবং কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশনের (সিএসসি) প্রধান নির্বাহী অ্যানাবেল বোউডের বৈঠকে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যমান বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমান বৃত্তিভোগী শিক্ষার্থীদের সহায়তা বৃদ্ধি এবং সিএসসি কাঠামোর অধীনে সহযোগিতামূলক গবেষণার পথ তৈরির সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করেছে।
হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম শিক্ষাকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের একটি স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং একাডেমিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সিএসসির অব্যাহত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান।
অ্যানাবেল বোউড বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরালো করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মীর নুরানী রুপমা এবং সিএসসির সিনিয়র অ্যালামনাই রিলেশনস ম্যানেজার ক্রিস্টি স্কটও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন (সিএসসি) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ সুগম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন