মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

দাবি না মানায় শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লংমার্চ টু সচিবালয় শুরু করছেন শিক্ষকরা। ছবি- সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লংমার্চ টু সচিবালয় শুরু করছেন শিক্ষকরা। ছবি- সংগৃহীত

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা ও আরও দুই দফা দাবি মানা না হওয়ায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার পর শহীদ মিনার থেকে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এর আগে প্রথমে দুপুর ১২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সময়সূচি বিকেল ৪টায় ঘোষণা করা হয়। 

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, তাদের দাবি—২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা যতক্ষণ প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবেন না এবং আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।

শিক্ষক নেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজির বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টার আলোচনা প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের একটাই দাবি প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। আর কোনো আলোচনার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত লংমার্চ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, ওই সময়ের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি কার্যকর হবে।’

দেলাওয়ার বলেন, ‘প্রশাসন জানিয়েছে, দাবি মেনে নেওয়া হবে। তবে প্রজ্ঞাপন জারি হতে সময় লাগবে। তাই লংমার্চ পেছানোর অনুরোধ এসেছে। তবে আমরা স্পষ্ট জানাচ্ছি, প্রজ্ঞাপন দেওয়া না হলে লংমার্চ প্রত্যাহার করব না।’

শিক্ষক নেতারা আরও জানান যে, সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা এবং তাদের সংগ্রহ প্রয়োজনীয়তা ও দাবির বিষয়ে স্থির। তারা পূর্বেই বলেছিলেন, রোববার ও সোমবার রাতভর শহীদ মিনারে অবস্থান করেছেন কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চালিয়ে যেতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এদিকে, সারা দেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ না করে বিদ্যালয়ের মাঠ, লাউঞ্জ বা অফিসকক্ষে অবস্থান করছেন। তবে বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে উপস্থিত থাকলেও পাঠদান কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। তারা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অন্তঃজালিকভাবে প্রচার চালাচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা বলছেন, দাবি মেনে নেওয়া না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন ও কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন।

Link copied!