মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

ছয় শতাধিক উদ্যোক্তা-গাছীর অংশগ্রহণে রাবিতে গুড় সম্মেলন

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঐতিহ্যের স্বাদ ও শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘গুড় সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ‘রস ও গুড়’-এর আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তা ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের সহযোগিতায় এই সম্মেলনের দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের ৬৪টি জেলা থেকে প্রায় ছয় শতাধিক গুড় উৎপাদনকারী, গাছী, উদ্যোক্তা এবং গবেষক দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের আপ্যায়নে ছিল চা, যা খেজুরের বিচি দিয়ে তৈরি। দুপুরের খাবারে মিষ্টান্ন হিসেবে ছিল নতুন খেজুর গুড়ের পায়েশ। এ সময় কয়েকটি স্টলে গুড় উৎপাদন, গুড় গবেষণা, বাজারজাতকরণ ও বিভিন্ন প্রকার গুড়ের প্রদর্শনী করা হয়। প্রদর্শনীতে ছিল খেজুরপাতা দিয়ে তৈরি মসজিদ, জায়নামাজ, তসবিহসহ নানা পণ্য।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরআই-এর মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘হোয়াইট সুগার এবং লবণ এগুলো হচ্ছে হোয়াইট পয়জন। হোয়াইট সুগার বাদ দিয়ে গুড় অথবা ব্রাউন সুগার বেছে নেওয়া উচিত। গুড় শরীরকে ঠান্ডা রাখে। আমরা চা, শরবত অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবারে গুড় ব্যবহার করতে পারি।’

উদোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বিরাট অংশজুড়ে আছেন। চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরির পেছনে না দৌড়ে উদ্যোক্তা হওয়া উচিত। এতে একদিকে যেমন নিজে স্বাবলম্বী হতে পারবেন, পাশাপাশি আরও দশজন বেকারও স্বাবলম্বী হবে।’

বিশেষ অতিথি রাবির ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘আমরা যে গুড় খাই সেখানে কোনো ক্যামিকেল নেই। কিন্তু আমরা যে চিনি খাই তা অনেক প্রকার ক্যামিকেল দ্বারা তৈরি। গরম চায়ে চিনি ব্যবহার করলে প্রায় ২৭ প্রকার ক্ষতিকর ক্যামিকেল উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে গুড় ব্যবহারে এমন কোনো ক্ষতি নেই। এটি অর্গানিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত। গুড়ের ব্যবহার বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।’

গবেষক ও উদ্যোক্তা সৈয়দ মুহাম্মদ মঈনুল আনোয়ার বলেন, ‘আমরা চাই গুড়ের মতো সম্ভাবনাময় একটি শিল্পকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। গুড়কে বিশুদ্ধভাবে সকলের কাছে সরবরাহ করা এবং বিদেশে রপ্তানি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। খেজুরগুড় ছাড়াও খেজুরগাছের বাণিজ্যিক দিকের গুরুত্বও অসীম। বিদেশ থেকে আমরা চাইনিজ জায়নামাজ, মেসওয়াক, তসবিহসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করি। কিন্তু চাইলে খেজুর গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্য তৈরি করা সম্ভব।’

সম্মেলনে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। সম্মেলনে আমরা জানতে পেরেছি, কীভাবে ভালো গুড় উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভোক্তাদের কাছে বাজারজাতকরণ করা যায়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা যতটা সচেতন হব, ঠিক ততটাই ভোক্তারা উপকৃত হবেন।’

Link copied!