রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ১২:৫৯ এএম

রাজাকার স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাবি

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ১২:৫৯ এএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাবি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক কর্তৃক স্বৈরাচার হটানোর এক দফা আন্দোলনে রাজাকার স্লোগান বিকৃত করার আভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।  

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় ঢাবির হলপাড়া থেকে বৃষ্টির মধ্যেই মিছিল নিয়ে বের হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন হল ঘুরে মুহসীন হল, নীলক্ষেত মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসে।  

এসময় শিক্ষার্থীরা তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার; কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরচার; ঢাবির মাটি, রাজাকারের ঘাটি; চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার; আমাদের ইতিহাস, বিকৃতি চলবে না; স্বাক্ষী আছে জনতা, বিকৃতি চলবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক এবি জুবায়ের বলেন, খুনি হাসিনা যখন আমাদের  রাজাকার বলেছিল তখন জ্বলে উঠেছিল ঢাবি সহ পুরো বাংলাদেশ। কিন্তু এখন কিছু লোক শিক্ষার্থীদের প্রাণের রাজাকার স্লোগান বদলে ফেলার চেষ্টা করছে। যেই স্লোগানে পুরো বাংলাদেশ জলে উঠেছে, সেই স্লোগান নিয়ে এতো হীনম্মন্যতা কেন? আমাদের চোখে দেখা ইতিহাস বিকৃত হলে ৭১ এর ইতিহাসের কী করে বিশ্বাস করব। যারা ২৪ এর ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছেন তাদের ভুল শিকার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ২৪ এর বিপ্লবের প্রতিটি চিহ্ন বাচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হলে আরো রক্ত দিব।

একদল লোক গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মুসাদ্দিক ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, খুনি হাসিনা রাজাকার ট্যাগ দিয়ে বিরোধী দলের উপর নির্যাতনের রোলার চালিয়েছে। এই রাজাকার স্লোগান হাসিনাকে ইতিহাসের ঘৃণিত ব্যক্তিতে পরিনত করেছে।  


উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের পর গত ১৪ জুলাই এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও কোটা পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?

 

শেখ হাসিনার এই মন্তব্যের পরেই বিক্ষোভে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সে সময় ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে মুখরিত হয় ঢাবি ক্যাম্পাস। তারপর ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে।

এই ১৪ই জুলাইকে স্মরণ করে ১৪ই সেপ্টেম্বর রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেয়। একই বিষয়ে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার,নুসরাত তাবাসসুম, চট্রগ্রাম বিশব্বিদ্যালয়ের রাফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেয়। তাদের সবার ফেসবুক পোস্টে "কে রাজাকার? কে রাজাকার? তুই রাজাকার, তুই রাজাকার!" স্লোগানকে তুলে ধরা হয়েছে। আন্দোলনের মূল স্লোগান বাদ দিয়ে অন্য একটি স্লোগানকে প্রতিষ্ঠিত করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!