রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অর্ধেক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য না ডেকে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মোট ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখায় আবেদন জমা পড়ার পর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিষয়টি বিভাগে পাঠানো হয়। তবে অভিযোগ আছে, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি কমপক্ষে ৭ জন প্রার্থীর আবেদন বাতিল করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী প্ল্যানিং কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিভাগের এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক থাকা উচিত। তবে অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কুন্তলা চৌধুরী সাবেক বিভাগীয় প্রধান মীর তামান্না ছিদ্দিকাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এতে প্ল্যানিং কমিটির সদস্য সংখ্যা চারজন হয়ে গেছে, যা নিয়মবিরোধী।
বাতিলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে – প্রার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয়ের না, আবেদনপত্র অপূর্ণাঙ্গ এবং নম্বরপত্রের অনুলিপি না থাকা। এই অভিযোগে অন্তত চারজন প্রার্থী এবং বাকি তিনজনের আবেদন বাতিল করা হয়।
পরীক্ষার জন্য ডাক না পাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী খন্দকার সুরাইয়া আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পাওয়ার পর তিনি প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করেন। কিন্তু পরদিন সাত প্রার্থী বাদ দিয়ে ১১ জন প্রার্থী নিয়েই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিশেষত্ব হলো, দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নামে বিভাগ না থাকায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত যেকোনো বিভাগ থেকে আবেদন করা যায়। তবে এবারের নিয়োগ বোর্ডে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, লোকপ্রশাসন, শান্তি ও সংঘর্ষ, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের প্রার্থীরাও বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কুন্তলা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফোন রিসিভ করার পর সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেওয়া হয় এবং পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ‘ওই প্রার্থী সময়মতো কাগজপত্র জমা দেননি। পরে জমা দিলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি আমরা বিভাগে পাঠিয়েছিলাম, তারা প্ল্যানিং কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। প্ল্যানিং কমিটিতে চারজন থাকার বিষয়টি আমাদের ভুল ছিল।’