রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তর, ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্তি ও সাইবার বুলিং রোধে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচন পেছানো হবেকি না সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি, আলোচনা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ দিকে, মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় বাড়ানোয় প্রতিবাদ করেছে ছাত্র শিবির, সাবেক সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।
তপশিল অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ সময়। গত দুইদিনসহ আজ বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রাকসু ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে মোট ১২১ জন পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দুপুর ২টার দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা রাকসুর ২৩ টি ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫টি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য সম্ভাব্য প্যানেলের কোনো পদপ্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
বাড়ালো মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময়
এ দিকে মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় বাড়ানোসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রসংগঠনগুলোর বিভিন্ন দাবির বিষয়ে আজ দুপুর থেকে জরুরি সংবাদ সভা হচ্ছে। সভা এখনো শেষ হয়নি। আমরা এর মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন পেছানো হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি, আলোচনা অব্যাহত আছে। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তর, ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্তি ও সাইবার বুলিং রোধে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন, ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ও ডোপটেস্ট করতে ৪-৫ দিন সময় লাগবে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে মনোনয়ন বিতরণের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তপশিলের পরবর্তী সময়গুলোতে পরিবর্তন আসতে পারে। আমাদের সভা এখনো শেষ হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় প্রয়োজন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর বেশকিছু দাবি ও ছাত্রদলের দুই মাস সময় চাওয়ার ‘অনুরোধের’ পরিপ্রেক্ষিতে আজ নির্বাচন কমিশনের জরুরি সভা বসে। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এ সভা বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর আগে দুই দফায় বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন।