জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রদলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্যের উপস্থিতিতেই হওয়া এই কর্মসূচি নিয়ে কমিশনের ভূমিকা ও আচরণবিধি মানা-না-মানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান কবিরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শাখা ছাত্রদল আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক নেতৃত্বে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের উপস্থিতিতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে নির্বাচনি আচরণবিধি ৭নং ধারার (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা সত্ত্বেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রশীদুল আলম বলেন, ‘সভা আয়োজন সম্পর্কে আমাদের অবহিত করা হয়নি।’
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সম্পর্কে জাকসু নির্বাচন কমিশন সদস্য ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাফরূহী সাত্তার বলেন, ‘আমাদের তো অনুমতি লাগে না, তারা আমাদের অবহিত করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ইস্যুটা মূলত রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং মিলাদ সংক্রান্ত।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০.০৮.২০২৫ থেকে ১৩.০৯.২০২৫খ্রি. তারিখ পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ধরনের অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, কর্মসূচি এবং মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, ‘একটা দলের সাবেক কর্মীর মৃত্যু বার্ষিকীতে পোস্টারিং, ব্যানার এবং আজকে দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে। এটা স্পষ্টতই আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন