ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছবি- সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর গুপ্ত সংগঠনের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকনউদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, কর্মী রোকন, স্বাক্ষর, উল্লাস, তৌহিদ, আলামিন, মোহাম্মদ আলী, রেজাউল রাকিব সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো’, রাজাকার আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার; লুঙ্গির নিচে রাজাকার, লুঙ্গির মালিক স্বৈরাচার; আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত; চবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে; রাবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে; কৃষিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে; শিক্ষা সন্ত্রাস, একসঙ্গে চলে না; ছাত্রদলের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থী ভাইদের ওপর হামলায় করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের দাবিতে, রাকসু নির্বাচনে তারা যেন ভোটার হতে পারে সেই দাবি আদায়ে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে হামলা করেছে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গুপ্তরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশ ধরেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই ক্লাস পরীক্ষায়, তারা কেউ কোথাও মব সৃষ্টি করছে না, বিশৃঙ্খলা করছে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ব্যানার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যাদের ব্যক্তিগত সংগঠন আছে তাদের নিজস্ব ব্যানার ব্যবহার করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থী ছদ্মনাম ব্যবহার করে তাদের কলঙ্কিত করা যাবে না।

ইন্টেরিম সরকারের উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের আহ্বায়ক বলেন, ‘চবি প্রশাসন, কৃষি প্রশাসন ও রাবি প্রশাসন উদ্ভুত সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে, আমরা তাদের পদত্যাগ চাই। কেন শত শত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে তার জবাব চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, সাজিদ হত্যার খুনিরা যেন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতে না পারে। যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন নিরাপদে ক্যাম্পাসের চলাফেরা করতে পারে। কে কোন পোশাক পরবে, কে কীভাবে চলবে ফিরবে, কে হেজাব পরবে, কে সাধারণ ড্রেস পরবে তা ব্যক্তিগত বিষয়, এতে কারও হস্তক্ষেপ করা চলবে না। আবাসিক হলগুলো যেন দখল করা না হয়। অর্থ সংকটের নাটক বন্ধ করুন, অতিদ্রুত ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত লাইট ও সিসিটিভি বৃদ্ধি করুন নইলে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’