ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আবিদের বিরুদ্ধে ইউল্যাব এলইডি স্ক্রিন বন্ধের অভিযোগ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন শামসুন নাহার হল সংসদের জিএস প্রার্থী সামিয়া মাসুদ মম। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে হল সংসদের ভোট গণনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (ইউল্যাব) কেন্দ্রের এলইডি স্ক্রিন বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে।

একই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি স্ক্রিন বন্ধ করে ভোট কারচুপি দেখানোর দায় কর্তৃপক্ষের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

শামসুন নাহার হলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, স্ক্রিন বন্ধ রাখার ঘটনায় কেন্দ্রের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা পুলিশের সামনে অবস্থান নেন।

শামসুন নাহার হল সংসদের জিএস পদপ্রার্থী সামিয়া মাসুদ মম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এলইডি স্ক্রিন ১০ মিনিট ধরে বন্ধ ছিল, এমন প্রোপাগান্ডা ছাত্রদল ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে এলইডি স্ক্রিন মাত্র এক মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল, সেটিও আবিদুল ইসলাম খানের উপস্থিতির পর।’

তিনি আরও জানান, ‘এটির মানে হলো আবিদুল এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে স্ক্রিন বন্ধ করিয়ে একটি মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। তারা দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে ইউল্যাব কেন্দ্রে ভোট গণনা সুষ্ঠু হচ্ছে না এবং তারপর কারচুপি হচ্ছে এমন স্লোগান দিতে শুরু করেছেন।’

সামিয়া বলেন, ‘তিনি ফেসবুক লাইভে থাকা অবস্থায় আবিদুলকে টানাটানির পরিস্থিতিতে তার গলায় কার্ড ঝোলাতে দেখেছেন। এছাড়া কেন্দ্রের একজন সাংবাদিককে টেনে বের করার সময় আবিদুল পালিয়ে যান। এরপর এলইডি স্ক্রিন পুনরায় চালু হয় এবং আবিদুল ইসলাম খান মব সৃষ্টি করে কেন্দ্র থেকে চলে যান।’

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘এই ধরনের কাজ শুধুমাত্র কেন্দ্রের শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য করা হয়েছে। তারা দাবি করেছেন, ভোট গণনা ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা এবং উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যেটি কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

এলইডি স্ক্রিন বন্ধের ঘটনা এবং কেন্দ্রের অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা সতর্ক করেছেন, ‘যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রার্থী বা প্যানেল নির্বাচনী পরিবেশে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। তারা বলেন, “ভোটের স্বচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন গুরুত্বপূর্ণ।’

শাহমসুন নাহার হলের শিক্ষার্থীরা এবং হল সংসদের নারী প্রার্থীরা এ ধরনের ঘটনা শোভন নয় বলে মন্তব্য করেছেন এবং দাবি করেছেন, ভোট গণনার সময় প্রতিটি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে এবং স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হতে হবে।