ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেছেন, জাকসু নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোট বর্জন করেছে ছাত্রদল। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিপন্থি তিন জন শিক্ষকও একই কারণে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুফিয়া কামাল হলের কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
আরিফ উল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যার কারণে অংশ না নিয়ে ভোট বর্জন করা প্রয়োজন। তবে ছাত্রদল জানত যে তাদের বিজয় সম্ভব নয়, তাই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্ট ও হলগুলোতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। শিবির সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টাও করা হয়েছে।
শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদলের দাবি অনুযায়ী ওএমআর মেশিন যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে তা জামায়াতের। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আসলে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ধরনের অভিযোগ শুধু বিভ্রান্তি সৃষ্টিই করছে।’
এদিকে, বিএনপিপন্থি তিন জন শিক্ষক—অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খানও জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন মনিটরিং করছিলেন, বাকি দুই শিক্ষক ছিলেন ভোটকেন্দ্র পর্যায়ে দায়িত্বে।
এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নানা অনিয়ম ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১,৭৪৩ জন, যার মধ্যে ৫,৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬,০১৫ জন ছাত্র। ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।