বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের উপদেষ্টা ফয়সাল আহাম্মদ ও মাহদী হাসান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের মতো একটি জাতীয় পর্যায়ের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হওয়া আমার জন্য একটি গৌরবের বিষয়। এটি শুধু একটি পদ নয়, বরং দায়িত্ব ও আস্থার প্রতীক। আমি বিশ্বাস করি, লেখালেখি সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। তরুণ প্রজন্ম যদি কলমকে সৎ, ইতিবাচক ও প্রগতিশীল চিন্তার বাহন হিসেবে ব্যবহার করে, তবে সমাজে সত্য ও ন্যায়ের চর্চা আরও প্রসারিত হবে। সংগঠনের লক্ষ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে আমি সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই। তরুণ লেখকদের উদ্বুদ্ধ করা, তাদের লেখনিকে পরিমার্জিত করতে সহযোগিতা করা এবং সৃজনশীল লেখনির মাধ্যমে দেশ ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কাজে আমি সবসময় নিয়োজিত থাকব।’
উল্লেখ্য, আলমগীর হোসেনের বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায়। তারা বাবা মো. আনোয়ার হোসেন চিলমারী উপজেলার রাজারভিটা মহিলা মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাস সাংবাদিক ও তরুণ কলাম লেখক হিসেবে কাজ করছেন।
বর্তমানে তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ২০২৩-২৪ সেশনে সাধারণ সম্পাদক ও ২০২৪-২৫ সেশনে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া নজরুল গবেষক হিসেবেও কাজ করছেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ নজরুল স্ট্যাডিজ এর আর্থিক প্রণোদনায় ‘নির্বাচনে নজরুল: লেখকসত্তা, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে গবেষণা করেছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের টিএ (টিসার্স এসিস্ট্যান্ট) এর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিয়ান হিসেবে খণ্ডকালীন চাকরি করছেন।
এর আগে তিনি সেইভ ইয়্যুথ বাংলাদেশ এর কুড়িগ্রাম জেলার ইয়্যুথ রেজিল্যান্স অ্যাম্বাসেডর এবং নির্ভয় ফাউন্ডেশন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক বর্ষসেরা উদীয়মান সাংবাদিক হিসেবে পদক ও সনদপত্র লাভ করেন।
২০২০ সালের ১৭ জুলাই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পার্লামেন্টারি বির্তক প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০১৯ সালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের আয়োজনে পাবলিক স্পিকিং কম্পিটিশন প্রতিযোগিতায় তিনি ৯ম স্থান অর্জন করে। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন কুড়িগ্রাম শাখার আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় তিনি জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন