সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জাককানইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির

জাককানইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নবম পে-স্কেল নিয়ে প্রহসনের প্রতিবাদে এবং ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে বৈষম্য নিরসনসহ নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) কর্মচারী সমিতি।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের যে দাবি, তা হলো নবম পে-স্কেল। সেই দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার একটি পে কমিশন গঠন করেছে। পে কমিশন বেতন কাঠামো চূড়ান্তকরণে এবং সার্বিক আলোচনার জন্য আমাদেরসহ অন্যান্য সংগঠনকে বিভিন্ন সময়ে ডেকেছে। আমরা সেসব মিটিং ও আলোচনায় অংশ নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পে-কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে ডিসেম্বরের মধ্যে এই পে-স্কেল বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অর্থ উপদেষ্টার বিভিন্ন বক্তব্যে হতাশাগ্রস্ত হয়েছি। আমরা আশা করি, এ সরকারই নবম পে-স্কেল কার্যকর করবে। এই দাবির প্রেক্ষিতে আজ আমরা বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি।’

তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। বিগত সরকার যেমন ফ্যাসিজমের পরিচয় দিয়েছে, আপনারা তেমন করবেন না। ৫ আগস্টের কথা ভুলে যাবেন না। আমরা শুধুমাত্র নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন চাই। আমাদের আর কোনো কথা নেই।’

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আজকের আন্দোলনটি শুধুমাত্র নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিকেই কেন্দ্র করে। সারা দেশব্যাপী এই কর্মসূচি বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে পালন করা হয়েছে। পে-কমিশন গঠন করে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে বর্তমান সরকার নতুন পে-স্কেল কার্যকর করবে। আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু কে বা কারা চাপিয়ে আমাদের এই নতুন পে-স্কেল হঠাৎ বন্ধ করে দিল। আর যদি পে-স্কেল না দেওয়া হয়, তাহলে কেন পে-কমিশন গঠন করে সরকারি কোষাগারের টাকা ব্যয় করা হলো? এর জবাব কী? প্রায় ১০ বছর ধরে আমরা কোনো পে-স্কেল পাইনি। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করলে পরিবারের সকল সদস্যের ভরণপোষণ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই আশা করি, বর্তমান সরকার নতুন পে-স্কেল দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করবে।’

প্রসঙ্গত, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, বরং আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে যাবে।’

Link copied!